শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি.

বগুড়ার শেরপুরের রণবীরবালা গ্রামে হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে বাদির বাড়িঘড় ভাংচুর, লুটপাট ও হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ৮ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ মডেল ইউনিয়নের রণবীরবালা গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে আল মামুনকে বিগত ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি রাত ৮ টার দিকে একই গ্রামের মৃত পিয়ার আলীর ছেলে আক্কাস আলী, আব্বাস আলী, ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মোঃ সাজু, মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে রিয়াজ বাবু, সোহরাব হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন, হাসানুর রহমানের ছেলে রাশেদ, কাফুড়া গ্রামের আজিজের ছেলে ইউনুছ আলী, তয়েজ আলীর ছেলে হাসেম আলী মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ জঙ্গলের ভিতরে ফেলে দিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পরের দিন ৯ জানুয়ারি আলেয়া বেগম বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি ওই মামলা হতে সকল আসামি জামিনে বেড়িয়ে এসে বাদীকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বলে যদি মামলাটি তুলে নেয়া না হয় তাহলে তাকেও হত্যা করা হবে। আসামিদের অব্যাহত হুমকিতে জীবনের ভয়ে বাদী ২ সন্তান নিয়ে নন্দিগ্রাম উপজেলার রনবাঘা এলাকায় বসবাস শুরু করেন। তাদের এই বাড়ীতে শুধুমাত্র বাদীর স্বামী মোহাম্মদ আলী একাই বসবাস করেন।
এরই একপর্যায়ে গত বৃহষ্পতিবার মোহাম্মাদ আলী স্ত্রী সন্তানদের খোজ নিতে রনবাঘায় গেলে রাতের বেলায় ওই হত্যা মামলার আসামীরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে নগদ ৭০ হাজার টাকা, সোনার গহনা সহ কাপড় চোপড় লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা বাড়ীর বিভিন্ন আসবাব পত্র ভাংচুর করে।
এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে আলেয়া বেগম বাদি হয়ে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্তের জন্য এসআই আরিফকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

