বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি-ঘর ফিরিয়ে দেয়া হবে

দিনাজপুর প্রতিনিধি.



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা মেরামত করে দেয়া হবে। পাশাপাশি নতুন ফসল ঘরে না ওঠা পর্যন্ত বন্যার্তদের সহায়তা দেয়া হবে।

রবিবার দিনাজপুর জিলা স্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বন্যা দুর্গতদের আগামী তিন মাস খাদ্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘরে নতুন আমন ফসল উঠে, ততদিন বানভাসি মানুষদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। কৃষক ভাইদের পূণঃরায় কৃষি ঋণ প্রদানসহ নতুন করে বীজ রোপণের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলেই রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো সংস্কারের কাজ শুরু হবে। আর যাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেছে তাদের টিন প্রদানের পাশাপাশি নতুন করে বাড়ি-ঘর তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

দিনাজপুর জিলা স্কুল আশ্রয় কেন্দ্র ত্রাণ বিতরণের আগে তার ভাষণে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বানভাসি মানুষের কাছে ঋণের টাকা এখন না তুলার নিদের্শ দিয়ে বলেন, এনজিও গুলো যাতে বানভাসি মানুষের কাছে এখন ঋণের টাকা না তুলে তার জন্য নিদের্শ দিচ্ছি।

সকাল ১০টা ৫৯ মিনিটে থেকে ১১টা ১২ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যার কারণে নতুন করে খাদ্য আমদানি করা হচ্ছে। আমাদের যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে। কেউ যাতে না খেয়ে থাকে আমরা তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবো।

দিনাজপুরে ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানন্ত্রী বলেন, সে সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। আমি সে সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠরিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মীর্জা আশফাক, কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধূরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

এর আগে সকাল ১০টার পর দিরাজপুর গোর- এ শহীদ ময়দানে হেলিকপ্টারে তিনি অবতরণ করেন। এরপর তিনি দিনাজপুর জিলা স্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্তদের কাছে চলে যান। সেখানে তিনি বন্যার্তদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দুপুরের নামাজ ও খাওয়া শেষ করে তিনি কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার যোগে রওয়ানা দেন।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ