ধুনটে বাঁধ ভেঙ্গে নতুন এলাকা প্লাবিত

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.


বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি’র আরো অবনতি হয়েছে। রোববার উপজেলার তারাকান্দি গ্রামে হলহলিয়া খালের বাঙ্গালী নদীর মোহনায় বাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে গত বুধবার রাত বাঙ্গালী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত শনিবার পর্যন্ত উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ৭৪টি গ্রাম বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। রোববার সকালে হলহলিয়া খালের উত্তর তীরে তারাকান্দি-শৈলমারী সড়ক কাম বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে এলাঙ্গী ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। বর্তমানে ধুনট উপজেলার ৭৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিকে বন্যার পানিতে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটেছে। উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল বলেন, বাঙ্গালী নদী তীরের নিম্নাঞ্চলের গ্রাম গুলো বর্ষা মৌসুমের শুরুতে প্লাবিত হয়েছে। সম্প্রতি নিমগাছী ইউনিয়নে বাঙ্গালী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে এলাঙ্গী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। উপজেলার হলহলিয়া খালটি বথুয়াবাড়ীতে বাঙ্গালী নদীর সাথে যুক্ত রয়েছে। তারাকান্দি থেকে শৈলমারী পর্যন্ত হলহলিয়া খালের উত্তর তীর ধরে কাঁচা সড়ক আছে। বর্ষাকালে ওই সড়কের উত্তর অংশে পানি প্রবেশ করে কৃষকের ক্ষতি সাধন হয়। একারনে সড়কটি উঁচু করে সড়ক কাম বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এবছর বন্যার পানি থেকে উত্তর এলাকার জমির ফসল রক্ষা করে বাঁধটি। কিন্তু রোববার সকালে তারাকান্দি গ্রামের পশ্চিমে ওই বাঁধকাম সড়কটি ভেঙ্গে যায়। এতে পানি প্রবেশ করে ধাপারচরাসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা জানান, এবারের বন্যায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে বাঙ্গালী নদীর বাঁধ ভাঙ্গা বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষক। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য পরিবার। ইতিমধ্যে যমুনা নদীর বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাঙ্গালী নদীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা’র উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ