নন্দীগ্রাম হাটে-বাজারে বোরো ধান উঠছেঃ ফড়িয়ারাও বেশ তৎপর

নন্দীগ্রাম (বগুড়া ) প্রতিনিধি.

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় প্রায় ৪০শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। একই সাথে শুরু হয়েছে নতুন বোরো ধান বেচা-কেনা। ‘আল্লাহ এবার ধান দিছে। এখন যদি ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায়’-এছিল নন্দীগ্রামের কয়েকজন কৃষকের কথা। কিন্তু লাভের ভাগ নিয়ে যায় ফড়িয়া আর আড়তদাররা। ইতিমধ্যে সরকার ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে ২৪ কেজি ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে ৩৪ টাকা কেজি। কিন্তু আজও সরকারি ভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ না হওয়ায় কৃষকের মাঝে হতাশা বাড়ছে। এদিকে আগেভাগেই ফড়িয়াদের অর্থের যোগান দিয়ে তাদের ধান ক্রয়ে হাটে ও গ্রামে গ্রামে মাঠে নামিয়েছে আড়তদাররা। বোরোর বাজার এখন ফড়িয়াদের দখলে। ধান কেনার জন্য তারা হাট ছেড়ে কৃষকের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে।
গত তিন বছরের মত এবারও নন্দীগ্রাম উপজেলায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা ২০ হাজার ৪৬৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ১১৯ মেট্রিকটন। উপজেলার রনবাঘাসহ বিভিন্ন হাটে ধান বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। এলাকার কৃষকরা জানিয়েছে ধান কিনতে বেপারিদের লোকজন গ্রামে ঢুকেছে। একারণে হাটে বেশি ধান ওঠে না। তবে ধান কাটা শেষ হলে অধিক দামের আশায় কৃষকরা হাটেও ধান আনবে। রনবাঘা হাটে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০টাকা মণ। জানা গেছে, আড়তদাররা ফড়িয়াদের একটি নির্দিষ্ট মূল্য বেঁধে দিয়ে আগে ভাগে ধান সংগ্রহ করছে। ফড়িয়াদের মণ প্রতি ৫ টাকা কমিশনে ধান কিনছে। আড়তদাররা ও মিলারদের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে কম দামে ধান কিনে সেই অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ফড়িয়ারা।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ