নিউজ ডেস্ক.
কোন শক্তি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের গ্রহ-নক্ষত্রকে ধরে রেখেছে? এই নিয়ে যুগ যুগ ধরে গবেষণা করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকরা। পিছিয়ে নেই ভারতও। এবার এই ‘ডার্ক ম্যাটার’ নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে কাজ করতে ঝাড়খন্ডে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার গভীরে তৈরি করা হয়েছে গবেষণার।
‘ডার্ক ম্যাটার’ অনুসন্ধানে বিজ্ঞানীদের মাটির গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। কারণ, কসমিক রে বা অন্য বিকিরণও গবেষণায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তবে গবেষণাগারের পাথরের ছাদ সেই বিকিরণ শুষে নেয়ার ক্ষমতা রাখে।
সম্প্রতি খুলে দেয়া হয়েছে ঝাড়খন্ডের মাটির নিচের গবেষণাগার। কলকাতার সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিকসের (এসআইএনএফ) বিজ্ঞানীরা কাজও শুরু করেছেন এই গবেষণাগারে।
কলকাতা থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরে ও রাঁচি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খন্ডের জাদুগোড়ায় ভারতের প্রথম ইউরেনিয়ামখনিতে এই গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। গবেষণাগারটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৫৫ মিটার গভীরে অবস্থিত।
গবেষকদের নেতৃত্বে থাকা সত্যজিৎ সাহা জানান, মাটির নিচে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি একটা গুহা ছিল, সেখানেই এই গবেষণাগার তৈরি করা হয়েছে।
অত্যন্ত সুরক্ষিত ও নিরাপত্তায় ঘেরা এই গবেষণাগারের দায়িত্বে আছে ইউরেনিয়াম করপোরেশন অব ইন্ডিয়া। এটি ভারতের দ্বিতীয় ভূগর্ভস্থ গবেষণাগার। এর আগে কর্ণাটকে এ রকম একটি গবেষণাগার তৈরি করা হলেও বন্যার কারণে ১৯৯২ সালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্র : এনডিটিভি

