Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
রাজশাহী প্রতিনিধি.
আদিবাসী এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অপরাধে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কলেজের গভর্নিং বডির ৩৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষকের নাম অজিত কুমার সরকার।
তার বরখাস্তের চিঠি বৃহস্পতিবার ডাকযোগে নওগাঁর রাণীনগরে অজিত কুমারের গ্রামের স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ তাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অজিত কুমার সরকার প্রতিষ্ঠানটিতে কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অধ্যক্ষ তাইফুর রহমান বলেন, অবিবাহিত শিক্ষক অজিত কুমার সরকার নগরীর শালবাগান এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। সম্প্রতি ওই বাসায় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক আদিবাসী ছাত্রীকে সহযোগিতার নামে ডেকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর স্বামী প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সাথে দেখা করে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে চেয়ারম্যান বিষয়টি তদন্তের জন্য শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. আনারুল হক প্রামানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন।
এই কমিটি সম্প্রতি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই শিক্ষক অজিতের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কমিটি তাদের প্রতিবেদনে সুপারিশ করে। এরপরই কলেজের গভর্নিং বডির সভায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অধ্যক্ষ তাইফুর রহমান জানান, গত ৩১ আগস্ট বোর্ড চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গভর্নিং বডির জরুরি সভায় অভিযুক্ত অজিত কুমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ঈদের ছুটির কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দাফতরিক কার্যক্রম আর এগোয়নি। পরে বৃহস্পতিবার ডাকযোগে অজিত কুমারের কাছে সাময়িক বরখাস্তের আদেশের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অজিত কুমার সরকার দাবি করেন, ওই ছাত্রী তার কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাসায় কথা বলতে গিয়েছিলো। পরের দিন থেকে চলমান ব্যাচের সাথে তারও যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে তা না করে রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলে। ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।