Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হারিকেন ইরমা এবার কিউবা আঘাত হেনেছে।
ইরমার তাণ্ডব শেষ হতে না হতেই ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ বসাতে পিছে পিছে ধেয়ে আসছে হোস নামে ক্যাটাগরি ৪ তীব্রতার আরেকটি হারিকেন।
হারিকেন কাতিয়াও একই পথে ধেয়ে আসছে। তবে এটি ক্যাটাগরি ১ তীব্রতার। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানার পর এটি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে ঝড়ো হাওয়াসহ ব্যাপক বৃষ্টিপাত নিয়ে কিউবার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শুরু করে ইরমা। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ক্যামাগুয়ে দ্বীপমালায় প্রথমে আঘাত হানে ক্যাটাগরি ৫ মাত্রার ইরমা। গত কয়েক ঘণ্টায় ঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়েছে। যে কারণে কিউবার উপকূলীয় শহর ও গ্রাম ঝুঁকিতে রয়েছে।
গত কয়েক দশকে এই প্রথম ক্যাটাগরি ৫ তীব্রতার হারিকেন আঘাত করল কিউবায়। শুক্রবার দিবাগত রাতে ঘণ্টায় ২৫৭ কিলোমিটার গতিতে ইরমা প্রবাহিত হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা।
সবশেষ খবর অনুযায়ী, কিউবার মৎস্য শিকারের শহর কাইবারিয়েন থেকে ১৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল ঝড়টি। কিউবার ক্যামাগুয়ে, সাইগো ডি অ্যাভিলা, স্যাঙ্কটি স্পিরিটাস, ভিলা ক্লারা ও মানতানজাস প্রদেশে হারিকেন সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু কিছু অঞ্চলে বিুদ্যৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ করা দুরুহ হয়ে উঠেছে। দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হারিকেন ইরমার সতর্কতা পাওয়ার পর কিউবার পর্যটন এলাকাগুলো থেকে ৫০ হাজার পর্যটক এরই মধ্যে সরে গেছে বা যাচ্ছে। পর্যটন এলাকাগুলো এখন জনশূন্য।
এদিকে রবিবার নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে পারে ইরমা। ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমাতে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ফ্লোরিডা রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মধ্যে ৫ লাখের বেশি লোককে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ফ্লোরিডা ছাড়া আশপাশের কয়েকটি রাজ্য ইরমার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে হারিকেন হোস ও কাতিয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে। বারবুডা দ্বীপের ৯০ শতাংশ ভবন লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। হোসের সতর্ক বার্তা পেয়ে দ্বীপ ছেড়ে চলে যাচ্ছে লোকজন। বারবুডা এখন জনশূন্য দ্বীপে পরিণত হয়েছে।
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি দ্বীপে ইরমার আঘাতে মারা গেছে কমপক্ষে ২০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি অনলাইন