অপারেশন থিয়েটারে প্রসূতি মায়ের পুড়লো পা

কাজীপুর প্রতিনিধি.


সিজারিয়ার অপারেশন করতে গিয়ে রোগীর পা পুড়ে গেছে এক প্রসূতি মায়ের। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

বর্তমানে ওই প্রসূতি মা পোড়া পায়ের ব্যথায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। ডাক্তারগণ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় বার্ণইউনিটে ভর্তির পরামর্শ দিলেও ভ্যানচালক স্বামীর পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না। ভূক্তভোগি ওই রোগি কাজীপুর সদর ইউনিয়নের মেঘাই ওয়াবদাবাধে বসবাসকারি ভ্যানচালক কামালের স্ত্রী রাসেদা খাতুন (২৩)।

রোগীর স্বজন ও হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট প্রসব বেদনারত অবস্থায় রাশেদা খাতুনকে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকগণ ঐ দিনই তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সিজারিয়ান অপারেশনের পরামর্শ দেন। এসময় কর্তব্যরত গাইনি কনসালটেন্ট ডাঃ সাহানা বেগম তার অপারেশন করেন। রোগীর স্বামী কামাল হোসেনের অভিযোগ, গরিব মানুষ বলে শুরু থেকেই চিকিৎসকগণ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেন এবং নানা বিষয়ে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। অপারেশন থিয়েটারে তার স্ত্রীর পা পুড়ে ফেলেন কর্তব্যরত ডাক্তার। পোড়ার অবস্থা এ পর্যায়ে গেছে যে এখন ওই ডাক্তারগণ আমার স্ত্রীকে চিকিৎসা দিতে পারছেনা।

এ বিষয়ে কাজীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এরকম হয়েছে। এতে করে রোগীর লিগামেন্ট পুড়ে গেছে। সারতে বেশ সময় লাগবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অফিসার ডাক্তার সাজ্জাদ মাসুম জানান, সিজারিয়ান অপারেশনে মায়েদের রক্তক্ষরণ বন্ধে ড্যায়াথারমিন নামের একটি যন্ত্র ব্যবহৃত হয়। অসাবধানতাবশত সেই যন্ত্রের কারণে ওই রোগীর পা পুড়ে গেছে। এটি একটি নিছক দুর্ঘটনা মাত্র। উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে ঢাকায় বার্ণ ইউনিটে যাবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ