Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
একদিকে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা, অন্য দিকে মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সু চি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের দুই নেত্রীর মধ্যে কাকে কতটা সমর্থন করা হবে তা নিয়ে প্রবল দোটানায় রয়েছে ভারত, এমনইটি দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা নিয়ে কূটনৈতিক চূড়ান্তপত্র দিয়েছে ঢাকা। এছাড়াও মিয়ানমারকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, পশ্চিম মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করা না হলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক স্তরে নেয়া হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের দাবি, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপরে নজরদারি চালাতে গিয়ে সীমান্তে বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার ও ড্রোন। সেই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে মিয়ানমার।
এদিকে সম্প্রতি ব্রিকস সম্মেলন শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গিয়েছিলেন মিয়ানমার সফরে। রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমারের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে ভারত। এমনকী ভারত মনে করছে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলোর যোগাযোগ বেড়েছে। এজন্য ভারতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিভিন্ন রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরানোর কাজ (পুশব্যাক) শুরু হয়েছে। এমনকী জম্মু-কাশ্মিরে থাকা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশও ভারতের কাছে রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা নিয়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে।
বস্তুত মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা জনজাতির আলাদা পরিচয়ও মানতে রাজি নয়। তাদের মতে, রোহিঙ্গারা ‘বাঙালি মুসলিম’। এই যুক্তি মেনে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারও। কিন্তু জাতিসংঘ তা মানতে রাজি নয়। সংস্থাটির মতে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারেই আশ্রয় দিতে হবে। তাদের আলাদা জাতি পরিচয়ও মানতে হবে মিয়ানমার সরকারকে।
কূটনীতিকদের মতে, মিয়ানমারে চীনের প্রভাব ঠেকানোর জন্য সু চি সরকারের কাছাকাছি আসতে চাইছে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক দ্রুত বাড়ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে গিয়ে বাংলাদেশকে চীনের দিকে ঠেলে দেওয়া যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। ফলে ভারত এখন উভয় সংকটে।